স্বদেশ ডেস্ক:
অবশেষে মুক্তি পেলেন চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝু। প্রতারণার অভিযোগে গত তিন বছর ধরে তিনি কানাডায় গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন। কানাডা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মেং সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার জীবন পুরোপুরি উল্টেপাল্টে গেছে। বন্দী অবস্থা আমার জন্য বিপর্যয়কর সময় ছিল।’
মেং হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন জেনফেং-এর মেয়ে, যিনি ১৯৮৭ সালে হুয়াওয়ে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিকম প্রযুক্তি উৎপাদক প্রতিষ্ঠান এটি।
এদিকে, মেং ওয়ানঝুর মুক্তির পরপরই চীনে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পেলেন দুই কানাডিয়ান নাগরিক। মাইকেল স্পাভোর ও মাইকেল কোভরিগ। তাদের দুজনকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটকে রাখেছিল বেইজিং।
আজ শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দীর্ঘ আলোচনার পর হুয়াওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ওয়ানঝুকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপরই তিনি তাৎক্ষণিক কানাডা ত্যাগ করেন। সমালোচকদের মতে, চীন রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করে হুয়াওয়ের কর্মকর্তাকে মুক্তি করাতেই দুই কানাডার নাগরিককে আটক করে। তবে এ বিষয়টি বেইজিং পুরোপুরি অস্বীকার করে আসছে।
মেং-কে কানাডা গ্রেপ্তার করার পরপরই ২০১৮ সালে মাইকেল স্পাভোর এবং মাইকেল কোভরিগকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করে চীন। একইদিন চীন তাদের মুক্তি দেওয়ায় কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কানাডার দুই নাগরিক সম্পূর্ণ নির্দোষ। তবে এটি আমাদের সবার জন্য ভালো সংবাদ যে তারা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারছে। গত এক হাজার দিন তারা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আরও জানান, তারা শনিবার ভোরে কানাডায় অবতরণ করবেন। তাদের সঙ্গে কানাডার রাষ্ট্রদূত ডোমিন বারটনও আছেন। দীর্ঘ আলোচনার মধ্য দিয়েই অবশেষে এই তিনজনই মুক্তি পেলেন।